টাকা ছাড়া কিছুই করেন না ভূমি কর্মকর্তা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. বজলুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ ও দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ এনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনের সড়কে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনায় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সদরের ঘোষপাড়ার মনোরঞ্জম গোপ, কামারগাঁও গ্রামের মীহির দেব, অলি মিয়া ও আলাল মিয়া।
বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ভবনে ডিজিটাল সাইনবোর্ড রয়েছে- ‘দুর্নীতিমুক্ত উপজেলা প্রশাসন’। অথচ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না।
এ সময় নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুল হকের শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে স্মারকলিপি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান বিক্ষুব্ধরা। তবে ইউএনও মো. সাইফুল কবীর কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তার সিএ বিল্লাল মিয়ার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা ছাড়া কোনো জায়গার খারিজ দলিল করেন না। আর কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তিনি (ভূমি কর্মকর্তা) পাঁচগুন টাকা আদায় করেন। অথচ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভূমির খারিজের ফি এক হাজার ১৫০ টাকা। চূড়ান্ত বিএস খতিয়ান আসার পরও দাগে সামান্য ভুল থাকলে জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন বজলুল হক।
তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. বজলুল হক।
আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/এমকেএইচ