ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না ঝিনাইদহবাসী

প্রকাশিত: ০৩:৫৩ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ জেলার পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মুঠোফোনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালুর ছয় বছর পরও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না ঝিনাইদহবাসী। এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্রচার-প্রচারণার অভাব আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলার কারণেই তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ঝিনাইদহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সহজে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চত করতে সরকার ২০০৯ সালের মে মাসে দেশের ৪৮২টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুঠোফোনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করে। চিকিৎসা কেন্দ্রে উপস্থিত না হয়েও রোগীদের পরামর্শ দেয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রমটি চালু করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে মোবাইল ফোন সরবরাহ করা হয়। জনস্বার্থে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই মুঠোফোন নম্বরগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদর্শন ও প্রচারণার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ঝিনাইদহ জেলায় এ সক্রান্ত কোনো প্রচারণা চালানো হয়নি। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণকে এই সেবার কথা জানানোর নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইনিয়নের কলেজ ছাত্র মনিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে মুঠোফোনে জরুরি চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়, তা জানা নেই। তার মতো একই ধরনের অভিযোগ জেলার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের। নিয়ম অনুযায়ী কর্মরত চিকিৎসক ২৪ ঘণ্টা মুঠোফোনে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা সক্রান্ত পরামর্শ দেবেন। প্রতিদিন কতজনকে মুঠোফোনে পরামর্শ দেওয়া হল, রোগী কি ধরনের পরামর্শ চেয়েছেন তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। অথচ জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে তা মানা হচ্ছে না।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শহরের বাসিন্দা তারিক হাসান বলেন, জরুরি প্রয়োজনের সময় মুঠোফোনে কল দিলে ঠিকমত রিসিভ হয় না। যে কারণে এখন আর ফোন দিই না।

জেলা সদরে বসবাসকারী শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, সদর হাসপাতালের মুঠোফোনে কল দিয়ে কোনো সেবা পাওয়া যায় না।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুন নাহার বলেন, মুঠোফোনে অনেক রোগী পরামর্শ নিয়ে থাকেন। তবে এটা লিপিবদ্ধ করা হয় কি-না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় তা হয়ে ওঠে না। তবে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিলে ভাল হয় বলেও জানান তিনি।

শৈলকুপা উপজেলা শহরের আরেক বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, তিনি আজ পর্যন্ত জানেন না যে মুঠোফোনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জনগণকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের প্রচারণা তিনি দেখেনি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম জানান, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যাতে করে জনসাধারণ মুঠোফোনে স্বাস্থ্যসেবা পায় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে।

আরাফাতুজ্জামান/এসকেডি/এমএস