মামুনকে ছাড়তে ৪০ হাজার টাকা চেয়েছে অপহরণকারীরা
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ ইবি ছাত্র আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে ফেরৎ পেতে মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারীরা। শনিবার দুপুরে যশোর থেকে নিখোঁজ হয় আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। সেই থেকে এখনও তার সন্ধান মেলেনি। তবে সোমবার রাত ১২টার দিকে ও মঙ্গলবার সকালে ইবি ছাত্র আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে ফেরৎ পেতে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
মোবাইলে অপহরণকারীরা ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। জাগো নিউজকে এসব মামুনের বাবা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের ঘোলা গ্রামের সিদ্দিক মোল্লা।
তিনি আরও বলেন, গতরাতে ও আজ সকালে দুইবার মোবাইল করে অপহরণকারীরা। তারা ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলছে বিকাশে টাকা পাঠালে আপনার ছেলেকে সাতক্ষীরায় পৌঁছে দেয়া হবে। টাকা না দিলে ছেলেকে ফেরৎ পাবেন না।
আমার ছেলেকে কোথায় রেখেছেন আপনারা জানতে চাইলে বলে, আমরা পাবনায় আছি। এ সময় ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও কথা বলিয়ে দেয়নি। ০৯৬৩৮২১৪৬৫৯ এই নম্বর থেকে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেছে তারা।
টাকা কি দিয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে হলেও আমরা আমাদের ছেলেকে ফেরৎ চাই। কিন্তু ছেলের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়নি সেজন্য টাকাও দেইনি। কি করবো কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। সেখান থেকে তারা জানিয়েছেন আমরা সব থানায় ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিচ্ছি কিন্তু গত চার দিনেও কোনো সন্ধান মিলছে না আমার ছেলের। এখন ছেলেকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করছে। আমার ছেলেকে আপনারা উদ্ধার করেন বলে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের বাবা।
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল কোরআন বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদের ঈমামের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে নিখোঁজ আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের বাবা সিদ্দিক মোল্লা জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, শনিবার সকালে মামুন বাড়ির উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া থেকে রওনা দেয়। এরপর দুপুরের দিকে শেষ কথা হয় মামুনের সঙ্গে। তখন মামুন জানায়, আমি যশোর পর্যন্ত এসেছি। তারপর থেকে মামুনের আর কোনো সন্ধান মিলছে না।
নিখোঁজের বিষয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মামুন নিখোঁজ হয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। কেউ মুক্তিপণ চাইলেও সেটি ওই থানার দেখার বিষয় আমাদের নয়।
আকরামুল ইসলাম/এমএএস/এমকেএইচ