সিলেট নগরে পশুর হাটের অনুমোদন দেবে না সিসিক
প্রতিবারের মতো এবারো কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিলেটে অবৈধ পশুর হাট বসানোর পাঁয়তারা চলছে। তবে সিলেট মহানগরে কোনো পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিচ্ছে না সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যক্তি মালিকাধিন নগরের স্থায়ী পশুর হাট কাজিরবাজার ছাড়া মহানগরের আরো কোনো স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যোগাযোগ মন্ত্রণায়য়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সড়ক-মহাসড়কের পাশে কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না। সিটি কর্পোরেশন এবার নগরের কোনো স্থানে পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেয়া তো দুরের কথা যদি কেউ অবৈধ পশুর হাট বসান তাহলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে জানান, কোরবানির ঈদে বৈধ পশুর হাট বসানোর জন্য এখনে আমাদের কাছে আবেদন জমা হচ্ছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেবো। আর কেউ যদি অবৈধ পশুর হাট বসান, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, কোরবানির ঈদ ঘিরে মহাসড়কের পাশে কোনো পশুর হাট বসতে না দেয়ার নির্দেশনা রযেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। গত কোরবানির ঈদে সিলেটে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের শেল্টারে নগরীর রিকাবীবাজার, কয়েদির মাঠ, সোবহানীঘাট, শাহজালাল উপশহর, কদমতলী ফল মার্কেটের সামন, শাহী ঈদগাহ খেলার মাঠ ও বিভিন্ন রাস্তার পাশে বসানো হয় অবৈধ পশুর হাট। যার কারণে লোকসান গুনতে হয়েছিল বৈধ ইজারাদারদের।
অপরদিকে সিসিক ও সদর উপজেলা সূত্র জানায়, এবার কোরবানির ঈদে পশুর হাটে জাল নোট পরীক্ষার যন্ত্র বসানো হবে। পাশাপাশি থাকবে মোটাতাজাকরণ গরু পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম। সদর উপজেলার পীরের বাজার, সুরমা গেইট, এভারগ্রিন, টুকেরবাজার ও লাক্কাতুরা এলাকায় বসবে পশুর হাট। আর সেজন্য সদর উপজেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ওই চার স্থানে হাট বসাতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমায়, জালালপুর, লালাবাজার, নাজিরবাজারসহ আরো দুটি স্থানে বৈধ পশুর হাট বসানো হবে। আর ব্যক্তি মালিকানাধিন ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার পশুর হাট ছাড়া নগরীর কোথাও অস্থায়ী পশুর হাট বসতে দেয়া হচ্ছে না। সিসিকের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে পশুর হাট না বসাতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হবে।
প্রতি বছর নগরের মাছিমপুরস্থ কয়েদির মাঠে পশুর হাট বসলেও সেখানে গড়ে উঠেছে ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও নির্বাচন কমিশনের সার্ভার স্টেশন। দুটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য রক্ষায় সেখানে কোনো পশুর হাট না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এবার কোনো পশুর হাট বসবে না। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসন ও মহানগর পুলিশকে অবহিত করেছি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কশিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না। আর রাস্তার পাশে পশুর হাট বসালে উচ্ছেদ করা হবে।
ছামির মাহমুদ/বিএ