আজও দৌলতদিয়ায় কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। আজ ঈদের ৬ষ্ঠ দিনেও দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে ফেরিঘাটে লোকাল যাত্রীসহ ছোট গাড়ি, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চাপ রয়েছে এবং সড়কে অল্প কিছু যানবাহনকে সিরিয়ালে থাকতে দেখা গেছে। তবে সময় যত বাড়বে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ততই বাড়বে বলে ধারণা ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা থেকে আসা যানবাহন ও যাত্রীদের নদী পারাপারে ঈদের আগে ও পরে তেমন কোনো ভোগান্তি না হলেও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। গত দুই-তিনদিনে দুপুরের পর নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সারি দীর্ঘ হতে দেখা গেছে।
অপরদিকে ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্যদের কাজ করতে দেখে গেছে।
দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ২০টি ফেরি ও ৩৪টি লঞ্চ চলাচল করছে এবং ৬টি ফেরিঘাটের সবকটিই সচল রয়েছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মো. নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, আজও ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ অনেক। দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত কোনো যাত্রী বহন করা হচ্ছে না। এছাড়া পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় যাত্রী পারাপারে কোনো সমস্যাও হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ঘাটে আজ লোকাল যাত্রীর চাপ রয়েছে। তবে কোনো যানবাহনকে সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে না। যানবাহনগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে।
রুবেলুর রহমান/এমবিআর/এমএস