আনন্দ ভ্রমণে গিয়ে হামলার শিকারে আহত অর্ধশতাধিক
আনন্দ ভ্রমণে নদীতে ঘুরতে গিয়ে অন্য যুবকদের হামলায় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক কিশোর-যুবক। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ভাটেরগাঁও এলাকার ডাকাতিয়া নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে ট্রলারযোগে ৮৫ জন কিশোর-যুবক ঈদ আনন্দ করতে ত্রিনদীর মোহনায় যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে ডাকাতিয়া নদীতে অন্য একদল যুবকের অতর্কিত হামলার শিকার হয়। এতে অর্ধশতাধিক কিশোর-যুবক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানা গেছে।
ট্রলারে থাকা মাঈন উদ্দিন নামে এক যুবক জানান, তারা মেঘনার পশ্চিম পাড়ের চরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে (ভাটেরগাঁও এলাকায়) পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ১২-১৩ জন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্থে তারা নদীতে ঝাঁপ দেয়। তাদের সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিশুও নদীতে ঝাঁপ দেয় বলে দাবি করেন তিনি।
ভাটেরগাঁও এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে এ নিয়ে বিভিন্ন জনের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। সকালে হাজীগঞ্জের কিশোর-যুবকরা চাঁদপুরে যাওয়ার সময় নদীর পাড়ে এক তরুণীকে ট্রলার থেকে ঢিল ছুড়ে। এ নিয়ে শাহতলী এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জের যুবকরা ট্রলার নিয়ে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শাহতলীর যুবকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অর্ধশতাধিক কিশোর-যুবক আহত হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ না-কি নদীতেও লাফিয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি এখনও জানি না। তবে এখনই খোঁজ নিচ্ছি। জেনে আপনাদেরকে জানাব।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই আমি ঘটনাস্থলে যাই। হাজীগঞ্জের ট্রলারে থাকা যুবকদের তথ্যমতে, তারা ৮৫ জন ছিলেন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ৪৬ জনকে পেয়েছি। চারজন চাঁদপুরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে চলে গেছে। ট্রলারে থাকা যুবকরা বলছেন, কেউ নিখোঁজ আছেন কি-না তা তারা হাজীগঞ্জে গিয়ে তালিকা দেখে বলতে পারবেন।
ইকরাম চৌধুরী/এমবিআর