ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কারারক্ষীর বিকৃত নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ০৬ জুন ২০১৯

নোয়াখালীতে স্ত্রীকে হাতকড়া পরিয়ে ঘরে আটকে নির্যাতনের অভিযোগে এক কারারক্ষীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার নোয়াখালী জেলা কারাগার সড়কের নুর জাহান মহল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। পরে তার স্বামী কারারক্ষী মো. মামুনকে আটক করে।

কারারক্ষী মো. মামুন চট্টগ্রামের দারোগারহাটের মো. বকুলের ছেলে। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেলা কারাগারে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রীর (১৯) বাবার বাড়ি জামালপুরের সানাইবান্ধা গ্রামে। তবে তার বাবা-মা এখন চট্টগ্রাম শহরে থাকেন।

মামুনের স্ত্রী বলেন, মামুন দুই বছর আগে চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় ভালোবেসে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন মামুনের আগেও এক স্ত্রী রয়েছেন। বিয়ের পর নেশার টাকার জন্য মামুন প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। সাত মাস আগে নোয়াখালী জেলা কারাগারে বদলি হওয়ার পর থেকে তাকে হাত ও পায়ে ‘হ্যান্ডকাপ’ পরিয়ে নির্যাতন চালাতে শুরু করেন মামুন।

আশপাশের লোকজন যাতে চিৎকার না শুনতে পায় সেজন্য নির্যাতনের সময় স্ত্রীর মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতেন মামুন। এরপরও মাঝে মধ্যে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেতেন। এ কারণে সাত মাসে অন্তত পাঁচবার বাসা বদল করেন মামুন।

নির্যাতনের শিকার ওই নারী আরও বলেন, মামুন তাকে নগ্ন করে মারধরের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতেন। এমনকি পুলিশে অভিযোগ দিলে তার বাবা ও ভাইকে মাদকের মামলা দিয়ে ফাঁসানোরও হুমকি দিয়ে আসছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে মামুন তাকে তার বাবার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এনে দিতে বলে। তিনি রাজি না হলে রাতভর নির্যাতনের পর সকালে দুইহাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে অফিসে চলে যায়।

এ ব্যপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীষা জানান, তাদের পাশের বাসার এক নারী বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দিলে জেলা কারাগার সড়কে নুর জাহান মহলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে হাতকড়া পরা ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বিকেলে কারারক্ষী মামুনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী কারাগারের জেল সুপার মনির আহমেদ বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এর আগে মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ছয় মাস পর আবার কাজে যোগ দেন।

এখন এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিলে কারাকর্তৃপক্ষ সহায়তা করবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।

এফএ/এমএস

আরও পড়ুন