ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে লক্কর-ঝক্কর গাড়িতে যাত্রী পরিবহন

সাভার (ঢাকা) | প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ০৪ জুন ২০১৯

ঈদকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হুঁশিয়ারির পরও অবাধেই চলছে লক্কর-ঝক্কর গাড়িতে যাত্রী পরিবহন। কোথাও কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই সড়ক-মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সামনে দিয়েই বীরদর্পে যাত্রী উঠিয়ে দিব্বি নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছে অনুমোদনহীন এসব পরিবহন। লক্কর-ঝক্কর গাড়ির পাশাপাশি লেগুনা, ম্যাক্সি ও পিকআপভ্যানও পাল্লা দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে।

সরেজমিনে সাভারের আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, ফুলবাড়িয়া ও সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সামনেই লক্কর-ঝক্কর গাড়িতে অবাধে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। এসব গাড়িতে পাটুরিয়া পর্যন্ত একশ টাকার ভাড়া স্থলে আদায় করা হচ্ছে ৩-৪শ টাকা।

savar-2

দূরপাল্লার বিভিন্ন পরিবহনের টিকেট আগে থেকেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় অনেকে এসব গাড়িতে করে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আগে থেকেই দরদাম করে যাত্রী ওঠাতে ব্যাস্ত লক্কর-ঝক্কর গাড়ির চালক-শ্রমিকরা।

তৈরি পোশাক শ্রমিক জমির উদ্দিন বলেন, কাজের চাপের জন্য আগে থেকে গাড়ির টিকিট কাটতে পারিনি। বেতন তুলে ছেলে-মেয়েদের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়ে সময় নষ্ট হয়েছে। এখন বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তায় এসে গাড়ি পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই লক্কর-ঝক্কর গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছি।

savar-2

রাশেদ নামে এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, আমরাও তো ঈদের কেনাকাটা করে বাড়িতে যাব। এখন যদি গাড়ি না চালাই তাহলে কীভাবে কী করব? তাছাড়া সড়কে অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি পাচ্ছে না। তাই তাদেরও উপকার হলো, আমাদেরও উপকার হলো।

তবে সড়কে কোনো লক্কর-ঝক্কর গাড়ি চলছে না দাবি করে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) আবুল হোসেন বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সড়কের চলাচলকারী প্রতিটি গাড়ির প্রতি নজর রাখছি।

আল-মামুন/এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন