তবুও ফিরতে হবে ঘরে...
সূর্য অস্ত গিয়ে চাঁদ দেখা দিলেই আগামীকাল (বুধবার) ঈদ। আর তাই সোমবার অফিস করা অনেকেই শেষ দিন মঙ্গলবার ভোর থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ফলে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বাড়ছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সাভারের আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, গেন্ডা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট, বিশমাইল, নবীনগর, বাইপাইল ও চন্দ্রা এলাকায় সকাল থেকেই ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ঘরমুখো মানুষ। অনেকেই অভিযোগ করছেন যথাসময়ে গাড়ি না আসায় অনেকটা সময় তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
এদিকে মহাসড়কে পিকআপ এবং পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী ওঠানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মালবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানে যাত্রী ওঠাচ্ছেন চালকরা। চাহিদা অনুযায়ী বাস না পাওয়ায় যাত্রীরাও ছুটছেন সেগুলোতে করেই। তবে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ লক্ষ্য করা গেছে।
অনেক যাত্রীকেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভোযোগ করতে দেখা গেছে। যাত্রীদের অভিযোগ পরিবহন চালক ও হেলপাররা সুযোগ বুঝে তিন থেকে চারগুন ভাড়া আদায় করছেন। মাত্র ১ কিলোমিটার রাস্তার জন্য তাদেরকে ২০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। গাবতলী থেকে হেমায়েতপুর ভাড়া দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা, হেমায়েতপুর থেকে সাভার ৫০/১০০টাকা, সাভার থেকে নবীনগর ও নবীনগর থেকে চন্দ্রা যেতে যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০টাকা পর্যন্ত। এছাড়া গাবতলী, হেমায়েতপুর ও সাভার থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে ভাড়া দিতে হচ্ছে ৩শ-৫শ টাকা।
আশুলিয়ার বাইপাইল মহাসড়কের দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, নাড়ির টানে সবাই বাড়ি ছুটছেন। এতে করে মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিবহন থাকায় একটু যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে গতকালের তুলনায় আজ চাপ অনেকটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক ও অপরাধ) সাইদুর রহমান জানান, রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহন থাকায় এবং মানুষের চাপ থাকায় এমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যতটা সম্ভব এসব যানজট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রনি খান/এফএ/পিআর