থানায় দেয়ার পর রাশেদকে ঢাকায় প্রেরণ
স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়ার পর তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সস্ত্রীক থানায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় থাকার পর পুলিশ তাদের দুটি মাইক্রোযোগে ঢাকার উদ্দেশে পাঠিয়ে দেয়।
রাশেদকে ঢাকায় পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, নিরাপত্তাসহকারে রাশেদকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে শহরের জেএফসি হোটেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন রাশেদ খান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে রাশেদকে তারা পুলিশে দেয়।
আরও পড়ুন>>কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
ওই সময় ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে থানায় আনা হয়।
এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা আমাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। আমি এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছি।’ নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে না পারার বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের এ নেতা।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাশেদকে লাঞ্ছিত করেছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ বলেন, ‘তারা রাশেদকে চেনেন না। তাকে কখনো দেখেওনি। তাই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে হয়রানি বা লাঞ্ছিত করে থানায় দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর