শিমুলিয়ায় আজও স্বস্তি
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঈদের ছুটি কাটাতে গত বৃহস্পতিবার থেকেই পরিবার নিয়ে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন ঘরে ফেরা মানুষ। তবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ এবার নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে। নেই কোনো যানজট, নেই ফেরি সংকট।
আগের সেই চিরাচরিত রূপ নেই লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে। বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এমনটা সম্ভব হয়েছে। আজ চতুর্থ দিনেও যাত্রী বা যানবাহনের তেমন চাপ নেই শিমুলিয়া প্রান্তে। বলা যায় গাড়ির অপেক্ষায় ফেরি বসে আছে।
যাত্রীরা বলছেন, শিমুলিয়া আজ একেবারেই ফাঁকা। আগে কখনো এমন চিত্র দেখা যায়নি। ঈদের নামাজ পড়তে হয়েছে শিমুলিয়া ঘাটে। দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে এই ঘাটে। এই বছর খানেক আগের কথা। যাত্রীদের চাপ সামলাতে না পেরে ফেরি ভর্তি করে মানুষ পার করা হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হত। সেই চিত্র আজ নেই, ভালো লাগছে সরকারের অগ্রগতি দেখে। পরবর্তীতে যেন এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে সরকারের কাছে এই কামনা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) আব্দুল আলীম জানান, অন্যান্য বারের চাইতে এবার অনেকটাই ফাঁকা শিমুলিয়া প্রান্তর। আমাদের মোট ১৮টা ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য চলমান রয়েছে। তাছাড়া লঞ্চ ও স্পিড বোটও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের যেকোনো ধরনের হয়রানি রোধে পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সচেতন। মোট কথা খুব শান্তিপূর্ণভাবেই এ পর্যন্ত যাত্রীরা স্ব স্ব গন্তব্যে যেতে পারছেন।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এফএ/এমকেএইচ