কাওড়াকান্দি ঘাটে আবারও ঘরমুখো মানুষের ভিড়
ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঘরে ফেরা শুরু করেছে। শিকড়ের টানে ঈদে ঝক্কি-ঝামেলা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। শনিবার (১ জুন) সকাল থেকেই দেশের ব্যস্ততম নৌরুট মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নেমেছে ঘরমুখো মানুষের ঢল। পাশাপাশি পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাট দিয়েও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ফলে আবারও ভিড় জমছে কাওড়াকান্দি ঘাটে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের জন্য অন্যতম নৌপথের একটি এই কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌপথ। শনিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রাজধানী ত্যাগ করতে থাকেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড়ও যেন বেড়ে চলেছে। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে অনেকটাই উপচে পড়া ভিড় যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা গেছে, কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রী চাপ লাঘবের জন্য শনিবার (১ জুন) সকাল থেকে দূর পাল্লার লঞ্চ পারাপারের ঘাটটি পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাটে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিকদের ভাষায় ‘কাটা সার্ভিস’ কাওড়াকান্দি ঘাটে চালু হলে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ফলে ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমবে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র আরো জানায়, এই নৌরুটে ২০টি ফেরি চলছে। লঞ্চ রয়েছে ৮৭টি। এছাড়া স্পিডবোট রয়েছে ২ শতাধিক।
গোপালগঞ্জের যাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, আমরা ঈদের চাপ বাড়ার আগেই বাড়ি ফিরছি। ঈদে সরকারি ছুটির অপেক্ষায় থাকলে পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হতো। এজন্যই আগেভাগেই বাড়ি ফিরছি। তারপরও পরিবহন, লঞ্চে যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
এদিকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিমের সার্বক্ষণিক মনিটরিং।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান জানান, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাড়তি ভাড়ার বিড়ম্বনা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম রয়েছে। ঘাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব দায়িত্বরত রয়েছে। সড়কে যানজট এড়াতে একটি লঞ্চ সার্ভিস সরিয়ে পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাটে নেয়া হয়েছে।
নাসিরুল হক/এফএ/জেআইএম