বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্যবোঝাই শতাধিক ট্রাক আটকা
লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ছয়দিন ধরে ভারতে রফতানির জন্য পণ্যবোঝাই প্রায় শতাধিক ট্রাক আটকে পড়েছে। স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গত ২৬ মে থেকে অনলাইন সেবা কার্যক্রম চালু করায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থলবন্দর ব্যবহারকারী বাংলাদেশি রফতানিকারকরা। এই সিস্টেম চালু করায় বাংলাদেশি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানির জন্য রাজধানীর মালিবাগ এলাকার মেসার্স মাড়ুতি ইন্টারন্যাশনালের পণ্যবোঝাই ৬০টি ট্রাক, গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার মেসার্স ক্যাচান ট্রেডিংয়ের ৪০টি ট্রাক রফতানি পণ্য নিয়ে গত ২৬ মে থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের পণ্যবোঝাই ট্রাকও স্থলবন্দর এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এতে একদিকে চরম যানজট সৃষ্টি হয়েছে অন্যদিকে ট্রাক মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে রফতানিককারকদের। এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
তবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি কার্যক্রম সচল রেখেছে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী মেসার্স তাসনিম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শামীম হোসেন বলেন, কয়েকজন রফতানিকারক ব্যবসায়ীর দুই শতাধিক গার্মেন্টস ঝুটবোঝাই ট্রাক ভারতে রফতানির জন্য কয়েক দিন ধরে অপেক্ষায় আছে। বিষয়টি কাস্টমসকে বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সাহা বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরে অনলাইন সেবা কার্যক্রম অনেক আগে থেকে চালু আছে। কিন্তু চ্যাংরাবান্ধা কাস্টমস ম্যানুয়ালি কার্যক্রম চালাতো। তারা এখন অনলাইন সেবা কার্যক্রম চালু করায় রফতানি কার্যক্রম নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলেও আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
রবিউল হাসান/আরএআর/পিআর