ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

২০১৬ সালেই ঝিনাইদহে গ্যাস সংযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৩ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঝিনাইদহসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাসের লাইন মোরামত, মিটার স্টেশন ও অবকাঠামো নির্মাণ শেষ করেছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। এখন বাকি রয়েছে পদ্মা পাড় অতিক্রম। আগে দুই দফা টেন্ডার আহ্বান করা হলেও পাকশী ভেড়ামারা পদ্মা পার ক্রসিং কাজ শুরু সম্ভব হয়নি।

তবে দ্রুত পদ্মা নদী অতিক্রম করার কাজ শুরু হবে। এজন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের ঝিনাইদহ অঞ্চলের প্রকৌশলী আমির হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যে ভাবে মানুষ গ্যাস সুবিধা পাচ্ছে, ঝিনাইদহবাসিও সেই সুবিধা ভোগ করবেন। এজন্য ঝিনাইদহ, যশোর ও কুষ্টিয়াসহ চারটি স্থানে মিটার স্টেশন এবং ডিপো তৈরি করা হয়েছে।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে গোটা দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস লাইন স্থাপনের প্রস্তাব পাশ হয়। ২০১১ সাল থেকে এ অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের টাকা দেয়ার কাজও ইতোমধ্যে শেষ করেছে।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের জমি অধিগ্রহণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার ৫২টি মৌজা থেকে মোট ১১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার উপর দিয়ে ৫২ কিলোমিটার গ্যাস লাইন মেরামত করা হয়েছে। জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ২৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। বাকি দুই কোটি টাকা মামলা মোকদ্দমা ও পারিবারিক ভাগ বন্টনের জটিলতায় থেমে আছে। তবে যেকোনো সময় এই টাকা বন্টনের কাজ শেষ হবে।

দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সংযোগের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে খুলনা ভেড়ামারা অঞ্চলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইসহাক উদ্দীন জাগো নিউজকে জানান, আমাদের সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাকি পদ্মা নদী অতিক্রম করার কাজ। এ কাজ করতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শেষ করা হবে।

এডিবি এ কাজে অর্থায়ন করছে বলেও জানান প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইসহাক উদ্দীন। তিনি আশা করেন আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ ঝিনাইদহ অঞ্চলে গ্যাসের লাইন চালু সম্ভব হবে। কারণ চলতি বছরের ডিসেম্বর কাজ শেষ করতে লাগবে।

এমজেড/এমএস