১২০ বস্তা চাল আত্মসাৎ করলেন আ.লীগ নেতা, ধরলেন ইউএনও
ভিজিএফ কার্ডধারী সুবিধাভোগী প্রত্যেককে ওজনে আট থেকে ১০ কেজি বা তারও অধিক কম দিয়ে নেত্রকোনায় আত্মসাৎ করা ৩৬০০ কেজি অর্থাৎ ১২০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজীদের হস্তক্ষেপে এসব চাল বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক ভিজিএফের ওই চাল দুস্থদের ওজনে কম দিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরে বঞ্চিত কার্ডধারীদের মধ্যে এ নিয়ে তুলকালাম শুরু হলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আল মজীদ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও সুমনা আল মজীদ বলেন, সংশ্লিষ্ট অফিসারকে অবগত না করেই চাল বিতরণ শুরু করেছিলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিক। সমাজসেবার একজন কর্মকর্তা ওই দায়িত্বে ছিলেন।
ইউনিয়নটিতে ভিজিএফ পাওয়া ৮২৭ জন উপকারভোগী রয়েছেন, যারা ভিজিএফের চাল পান। পরে ইউএনওর উপস্থিতিতে কম পাওয়া প্রত্যেককে তাদের প্রাপ্য বাকি চাল দেয়া হয়। পরবর্তীতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তার অভিযোগ ও সত্যতা পাওয়া গেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ইউএনও সুমনা আল মজীদ।
নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, ভিজিএফের চাল কম দেয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় কার্ডধারীদেের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কার্ডধারী শাহ্জাহান মিয়া, নাজিম উদ্দিনসহ সুবিধাভোগী আরও অনেক নারী-পুরুষ অভিযোগ করেন, ট্যাগ অফিসারকে ম্যানেজ করে দলের প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যান সিদ্দিক আমাদের ঠকিয়ে চাল আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি। তার ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলা যায় না। তার ছত্রচ্ছায়ায় লোকজন হামলাসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখান বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
কামাল হোসাইন/এএম/পিআর