নদী দখলে রাঘববোয়াল জড়িত, প্রমাণ পেল দুদক
তীর ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করে আসায় ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে আসছে একসময়ের প্রমত্তা কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী। দীর্ঘদিন ধরে এমনটি হয়ে আসলেও কেউ রুখে না দাঁড়ায় দখল কার্যক্রম তীর ছাড়িয়ে মূল নদীতে গিয়ে ঠেকেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে বাঁকখালী রক্ষায় মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশের নেতৃত্বে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছে একটি টিম। অবৈধভাবে নদী দখলের প্রমাণও পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদকের ওই টিম।
বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট থেকে বাজারঘাটা পয়েন্ট পর্যন্ত পরিদর্শন শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ বলেন, সরাসরি অভিযোগের পাশাপাশি শুরু থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে কাজ করছে দুদক। কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী নদীর মধ্যে বাঁকখালী একটি। এ নদীর তীরে যেভাবে স্থাপনা করা হয়েছে তা চলতে থাকলে আগামীতে বাঁকখালী বিলীন হয়ে যাবে।
রতন কুমার দাশ বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বলেছে ৯০ জন দখলদারের তালিকা তৈরি করেছে। সরেজমিনে এসে ওই তালিকার বাইরে অনেক রাঘববোয়ালকে নদী দখলে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাই ওই তালিকা সংশোধন করতে বলা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে দখলের বর্তমান চিত্র কমিশনে তুলে ধরা হবে। এরপর কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে তা বাস্তবায়ন করতে একটু পিছপা হব না আমরা।
পরিদর্শনকালে রতন কুমার দাশের সঙ্গে ছিলেন দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মকর্তা জাফর সাদেক শিবলীসহ পরিদর্শন দলের অন্য সদস্যরা। দুদক দলকে দেখে নদীপ্রেমীরা তীরে এসে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
দুদক কাজ শুরু করলে সাধারণ জনতাকে নিয়ে নদীরক্ষায় সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ইসলাম মাহমুদ।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/জেআইএম