ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গরুর সঙ্গে সাঁতার কাটতে গিয়ে শিক্ষার্থী ও প্রবাসীর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ২৯ মে ২০১৯

গরু নিয়ে সাঁতরে খাল পার হতে গিয়ে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে ডুবে মারা গেছে প্রবাসীসহ দু'জন। বুধবার বেলা ১টার দিকে বাঁকখালী নদীর রামু উপজেলার মিঠাছড়িঘাট এলাকা দিয়ে খালের ওপারে খরুলিয়া বাজারে গরু আনতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে জাল ফেলে বিকেল ৪টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

মৃতরা হলেন- রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার সোলতান আহমদের ছেলে শিক্ষার্থী মো. সাহেদ (১৫) ও একই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে প্রবাসী আমির হোসাইন (২৫)। সাহেদ দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূস ভুট্টো তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার খরুলিয়া বাজারের সাপ্তাহিক হাটবার। সেখানে বিক্রয়ের জন্য গৃহপালিত গরু নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন প্রবাস ফেরত আমির হোসাইন ও স্কুল শিক্ষার্থী সাহেদ। সড়ক পথে ৬ কিলোমিটার না হেঁটে খালের ওপারের বাজারে সহসা গরু নিয়ে পৌঁছাতে গরুসহ খালপার হচ্ছিল তারা। এসময় গরুর সঙ্গে সাঁতার কাটলেও মাঝখানে যাওয়া মাত্রই তারা তলিয়ে যায়। গরুগুলো ওপারে চলে গেলেও সঙ্গে থাকা দুজনকে ডুবে যাওয়া দেখে স্থানীয়রা এলাকাবাসীকে খবর দেয়।

Coxs-Bazar-Drown-Killed

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়েই কক্সবাজার দমকল বাহিনীকে খবর দেয়া হয়। ২টার পর দমকল বাহিনীর দুই সদস্য এলেও তারা খালে নামতে সাহস পায়নি। পরে স্থানীয় শতাধিক লোক জাল ফেলে তাদের উদ্ধার করে কূলে তুলে আসে। চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ এলাকায় খাল পার হতে গিয়ে প্রতি বছরই দু-তিনজন এভাবে তলিয়ে গিয়ে মারা যান বলেও উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান।

রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল মনসুর বলেন, খবর পেয়েছি গরু নিয়ে খাল পার হতে গিয়ে নদীর তিন ভাগের দুই-তৃতীয়াংশ পার হওয়ার পর দুজন ডুবে যায়। তলিয়ে যাবার সময় একে অপরকে ধরে রাখার চেষ্টা করেও বাঁচতে পারেনি। বেলা ৪টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজার দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেন সাগর বলেন, কক্সবাজারের দমকল বাহিনীতে প্রশিক্ষিত কোনো ডুবুরি নেই। এরপরও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে নদীতে তলিয়ে যাওয়াদের উদ্ধারে নেমে পড়েন।

সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/জেআইএম

আরও পড়ুন