আম্মু আমি আর স্কুলে যাব না
ঈশ্বরদীর আলহাজ টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছে একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। বিষয়টি নিয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ, শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১টার দিকে প্রধান শিক্ষক তার কক্ষ ঝাড়ু দেয়ার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে ডাকেন। সহপাঠীরা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই সময় শিক্ষকের কক্ষে শিক্ষক ছাড়া আর কেউ ছিল না। পরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলে ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন শিক্ষক।
ওই শিক্ষার্থীর মা বলেন, স্কুল থেকে ফিরে এসে মেয়ে আর ভাত খায়নি। খুব গম্ভীর ছিল। পরদিন মেয়ে জানায়, ‘আম্মু আমি আর স্কুলে যাব না।’ কারণ জানতে চাইলে আমাকে বিস্তারিত জানায় মেয়ে।
এদিকে, একই স্কুলের আরও দুইজন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে। এই দুই শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের মতো আমাদের আরও কয়েকজন বান্ধবী এমন অবস্থার শিকার হয়েছে। আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে আর পড়তে চাই না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলহাজ টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করে আসছেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া এবং শরীর নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার বাড়িতে জানায়। এরপর বাড়ির লোকজন বিষয়টি নিয়ে বিচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যান। অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার চাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। পরে জানানো হবে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আলহাজ টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, ওই ছাত্রীর অভিযোগ সত্য নয়। শত্রুতা থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এএম/এমকেএইচ