নভেম্বর ভারত যাচ্ছেন ৯৮৭ জন ছিটবাসী
ভারতের নাগরিকত্ব বহাল রাখতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ৯শ৮৭ জন সাবেক ছিটবাসী নিবন্ধিত হয়েছে। তাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত সীমান্ত চেকপোস্ট অতিক্রম করে ভারতে যেতে হবে তাদের।
সোম ও মঙ্গলবার ২ দিন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে তুলে দেবেন ট্রাভেল কাম আইডেনটিটি পাস। কুড়িগ্রাম জেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত বিলুপ্ত ১২টি ছিটমহলের মধ্যে ফুলবাড়ীর ‘দাশিয়ারছড়া’ ও ভুরুঙ্গামারীর ‘গোড়লঝাড়া’ থেকে ৩ শ ৫ জন ভারতে যাবেন।
এ জন্য ভারতীয় কর্মকর্তা তিমির ঘোষের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রোববার কুড়িগ্রাম পৌঁছান। অন্য সদস্যরা হলেন, শৌলেন্দর কিশোর, তাপস ভট্টাচার্য, দীপক দেবনাথ ও অসীম বড়ুয়া।
সোমবার ৩ সদস্যের একটি টিম দাশিয়ারছড়ার অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের পাশে এবং অপর ২সদস্যের টিমটি ভুরুঙ্গামারী ইউএনও কার্যালয় বসে ভারতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম শুরু করবেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ১শ ১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে ১৯টি ছিটমহল থেকে ৯শ৮৭ জন ভারতীয় নাগরিকত্ব বহাল রাখার পক্ষে নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার ১০টি ছিটমহল, লালমনিরহাট জেলার ৭টি ও কুড়িগ্রাম জেলার অভ্যন্তরের ২টি ছিটমহল থেকে এ সকল মানুষ ভারতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জাগো নিউজকে জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ১শ ৬২টি ছিটমহলের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১শ ১১টি ছিটমহলে হেড কাউন্টিং এর পর জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৪শ ৪৯ জন। এর মধ্যে ভারত যেতে নিবন্ধন করেছে ৯শ ৮৭ জন। অপরদিকে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশি ৫১টি ছিটমহলের প্রায় ১৪ হাজার মানুষের কেউ বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ দেখায়নি।
কুড়িগ্রাম জেলার দাশিয়ারছড়া থেকে ভারতে যাবে ২শ ৮১জন এবং ভুরুঙ্গমারীর গাড়লঝাড়া থেকে ২৪জন। এছাড়া জেলার অভ্যন্তরের বিলুপ্ত ১২টি ছিটমহলের ৭ হাজার ৮শ ২৭জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত ১৯৭৪ সালের সীমান্ত চুক্তি এবং ২০১১ সালের এ সংক্রান্ত প্রটোকল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার আলোকে ভারতীয় নাগরিকত্ব বহাল রাখার পক্ষের ছিটমহলবাসীকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত সীমান্ত চেক পোস্ট অতিক্রম করে ভারতে যেতে হবে। এ নির্ধারিত সময়ে বাঘ ভান্ডার ও সাহেবগঞ্জ সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে কুড়িগ্রামের ৩শ ৫জনকে ভারতে যেতে হবে।
এছাড়াও লালমনিরহাটের অধিবাসীদের বুড়িমাড়ী ও চেংরাবান্দা এবং পঞ্চগড় জেলার চিলাহাটী ও হলদিবাড়ী দিয়ে ভারতে গমন করতে পারবে।
নাজমুল হোসেন/এসএস/আরআইপি