ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ইভটিজিং থেকে বাঁচতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যশোরের শার্শায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক স্কুলছাত্রী (১৩) ইভটিজিংয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।

সমাজপতিদের কাছ থেকে বিচার না পেয়ে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে মুক্তির চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি গত মঙ্গলবারের। সেদিনই ওই স্কুল ছাত্রীকে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শনিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করে দেয়া হয়।

স্থানীয়রা ও ওই ছাত্রীর স্বজনরা জানান, যশোরের শার্শা উপজেলার গাতিপাড়া  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে একই গ্রামের তৈয়ব আলির বখাটে ছেলে মোখলেছুর রহমান মোখলেছ (২০) স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। বিষয়টি তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে অভিযোগ দিলে তারা বখাটে মোখলেছকে সতর্ক করে দেয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।

ওই ছাত্রীর প্রতিবেশি কল্যাণী রানী ও পলাশ বিশ্বাস জানান, স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত মেয়েটিকে উত্যক্ত করায় মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে সে আত্মহত্যা করার জন্য বিষপান করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বজনেরা তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেরত দেয়া হয়। অভিভাবকের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তাকে বর্তমানে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রাখা হয়েছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এনাম উদ্দিন স্বপন জানান, মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।

মেয়েটির বাবা স্বপন বিশ্বাস জানান, ওই ছেলেটির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে সবার অজান্তে আত্মহত্যার মাধ্যমে মুক্তি পেতে চেয়েছিল।

এদিকে এলাকাবাসী ও স্বজনদের অভিযোগ ছেলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের হুমকি ধামকির কারণে থানায় মামলা করতে সাহস পায়নি মেয়েটির বাবা। তারা বলেন, থানায় অভিযোগ দেয়ার আগেও পুলিশ ঘটনাটি জানতো।

শার্শা থানা পুলিশের ওসি এনামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শনিবার রাতে ওই মেয়ের বাবা থানায় অভিযোগ দেয়ার পর ঘটনাটি জেনেছি। রাতেই মোখলেছকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।

জামাল হোসেন/ এমএএস/আরআইপি