ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে হোটেল-বেকারির ধর্মঘট
রংপুর নগরীর খাবার হোটেল ও বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে ধর্মঘট শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। চলতি রমজান মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কয়েক লাখ টাকা জরিমান করা হয়। সেই জরিমানাকে ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে রংপুর নগরীর সকল হোটেল, রেস্তোরাঁ, বেকারি, চাইনিজ রেস্ট্যুরেন্ট, ফাস্ট ফুড ও মিষ্টির দোকান রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে রংপুর জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ও বেকারি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়।
এ সময় বলা হয়, নগরীর জুম্মাপাড়ার মিঠু হোটেলকে ২ লাখ, জলকর এলাকার ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড কনফেকশনারিকে ৩ লাখ, এভরিডে ফুড প্রোডাক্টসকে ১ লাখ ও সোনালী বেকারিকে ৩ লাখ টাক জরিমানা করা হয়। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ব্যাংক ঋণ ও মহাজনের দেনার দায়ে জর্জরিত। এর ওপর যদি এভাবে অমানবিক ও অস্বাভাবিক হারে জরিমানা করা হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির রংপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ খোকন বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বেকারিতে ভেজাল দেয়ার মতো কিছু নেই। শুধুমাত্র কাঁচামাল ক্রয় করে খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রি করা হয়। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে অনেক হোটেল রেস্তোরাঁ ও বেকারিকে অস্বাভাবিক হারে জরিমানা করা হয়। এতে করে ছোট বড় এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রংপুর জেলা শাখা এবং বাংলাদেশ ব্রেড অ্যান্ড বিস্কিট ফ্যাক্টরি মালিক সমিতি রংপুর জেলা শাখা এই কর্মসূচি ঘোষণা করে।
জিতু কবীর/এফএ/এমএস