স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বন্ধুকে নিয়ে শিক্ষকের গণধর্ষণ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বাপ্পা সেন। তিনি উপজেলার সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আজ শুক্রবার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় নারী ও শিশু নিয়াতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় দুইজনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৩) সঙ্গে পার্শবর্তী সৈয়দপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাপ্পা সেনের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। গত ৪ মার্চ মেয়েটিকে বেড়ানোর কথা বলে বাপ্পা সেন বিদ্যালয় থেকে জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে বাপ্পা ও তার বন্ধু সামাদ মিলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে মেয়েটি তার পরিবারকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
মেয়েটির বাবা জানান, আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে যারা সর্বনাশ করেছে আমরা তার বিচার চাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে আজ একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৫ মে) আসামিকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হবে। একই সঙ্গে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
মোসাইদ রাহাত/এসআর