পুলিশ ক্যাম্পের একি হাল!
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় পরিত্যক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝঁকিপূর্ণ ভবনে ১৫ বছর ধরে ডুমুরিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পের কার্যক্রম চলছে।
ক্যাম্পের এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১১ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এ ভবনে বসবাস করতে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বৃষ্টিতে এ ঝঁকিপূর্ণ ক্যাম্পে যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ডুমুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মাহাবুবুর রহমান বলেন, ২০০৩ সালে ৪ উপজেলার সীমান্তবর্তী ডুমুরিয়া এলাকায় চরমপন্থীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এক সময়ের শান্ত-নিস্তরঙ্গ চিতলমারীর ওই এলাকা আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়। সে সময় আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি হলে এলাকার সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবনে পুলিশ ক্যাম্পটি করা হয়। সেই থেকে ওই ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে আসছেন। ১৫ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চরম আতঙ্কের মধ্যে চলছে পুলিশ ক্যাম্পের কার্যক্রম। জরাজীর্ণ দোতলা ভবনের পিলারগুলো একেবারে খসে পড়েছে। ছাদের পলেস্তরা ঝরে ঝরে মাথায় ও গায়ের ওপর পড়ছে। ক্যাম্প ভবনে সার্বক্ষণিক আতঙ্কের মধ্যে থাকে সবাই। যেকোনো সময় এখানে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে চিতলমারী থানা পুলিশের ওসি অনুকুল সরকার বলেন, ২০০৩ সাল থেকে একজন এএসআই ও ১০ জন আনসার-ব্যাটালিয়ন সদস্য দিয়ে এ ক্যাম্প পরিচালিত হয়ে আসছে। বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারীসহ চারটি থানার সীমান্তবর্তী স্থানে এ ক্যাম্প অবস্থিত। এ ক্যাম্পের অধীনে মোট জনসংখ্যা ২৬ হাজার ৯৪৫ জন। আয়াতন ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৮ একর। থানা থেকে ক্যাম্পের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ ক্যাম্প। সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে এখানে অতিদ্রুত একটি সরকারি পুলিশ ক্যাম্প ভবন নির্মাণ দরকার। গত বছরের ৯ আগস্টের সভায় উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় এই ক্যাম্পকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র করার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু আজো কোনো অগ্রগতি নেই।
শওকত আলী বাবু/এএম/পিআর