কৃষকের ধানের চেয়ে মিলের চালে আগ্রহ বেশি
খুলনায় চলতি বছরের বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তবে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহের চেয়ে অনেকগুণ বেশি চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে মিলারদের কাছ থেকে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের বোরো সংগ্রহ মৌসুমে খুলনা মহানগরীসহ নয়টি উপজেলায় ধান-চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র দিঘলিয়া উপজেলায় ধান ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে না। গত ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এই সংগ্রহ চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
এই মৌসুমে খুলনায় আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৪২৭ মেট্রিক টন আর সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ১৬ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৯১৩ মেট্রিক টন। যেখানে কেজি প্রতি আতপ চাল ৩৫ টাকা, সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা আর ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ টাকা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের তালিকাভুক্ত ১৮১ জন মিলারের সবাই চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। যারা ইতোমধ্যে দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করেছেন।
এদিকে ধান সরবরাহের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কৃষক ছাড়া অন্য কোনো কৃষক ধান সরবরাহ করতে পারবেন না। একজন কৃষক সর্বনিম্ন ১২০ কেজি থেকে সর্বোচ্চ তিন টন পর্যন্ত ধান সরকারকে সরবরাহ করতে পারবেন।
এছাড়া খাদ্য বিভাগের সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহেও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। কৃষকের বাড়িতে গিয়ে নাকি সংশ্লিষ্ট এলাকার খাদ্য বিভাগের গুদাম স্থলে ধান সংগ্রহ করবে তাও নির্দিষ্ট করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান বলেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কিছুটা সময় লাগবে। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
আলমগীর হান্নান/এফএ/জেআইএম