বগুড়ায় আ.লীগ নেতার মাদক সেবনের দৃশ্য ওয়ালে ওয়ালে
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের ছবিসহ পোস্টারিং করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি তাকে গ্রেফতারসহ বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। একই সঙ্গে নন্দীগ্রামে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছি ছি রব উঠেছে।
এলাকার বিভিন্ন দেয়ালে লাগানো পোস্টারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের ছবি স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী।
দেয়ালে সাঁটানো পোস্টারে আরও লেখা হয়, এ মাদক ব্যবসায়ী শুধু নন্দীগ্রাম উপজেলা নয়, উত্তরাঞ্চলজুড়ে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। অবিলম্বে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আনিছুর রহমানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক। পাশাপাশি এ মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। প্রচারে নন্দীগ্রাম উপজেলার আওয়ামী লীগ প্রেমিক ত্যাগী নেতাকর্মীবৃন্দ।
পোস্টারে ইয়াবা সেবনের ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউবের লিংকে লগইন করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আনিছুর রহমান একজন মাদক সেবনকারী। ইতোপূর্বে তার মাদক সেবনের বিষয় প্রকাশ্যে এলে দলীয় নেতাকর্মীরা লজ্জায় পড়েন। এ রকম মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। এছাড়া এ পোস্টারিংয়ের বিষয়ে উপজেলাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেন, অভিযুক্ত আনিছুর রহমান আগে জাসদ করতেন। ২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দুই মাস পরই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। তিনি আগে থেকেই মাদক সেবন করতেন। এখনও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘আমি শুনেছি পোস্টারিং করার কথা। তবে নিজের চোখে দেখেনি। বিষয়টি আমাদের বিব্রত করেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে ও মেসেজ দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শওকত কবীর বলেন, এ ধরনের একজন মানুষকে দায়িত্ববান হতে হয়। কিন্তুু এ ধরনের কাজ পুলিশকেও বিব্রত করেছে। এ ব্যাপারে সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিমন বাসার/এমএএস/এমএস