চট্টগ্রামে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বুধবার (২২ মে) নয়টি আন্তঃনগর ও দুটি স্পেশাল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ১০টি কাউন্টারে। আজ দেয়া হচ্ছে আগামী ৩১ মে’র টিকিট। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ও অনলাইনে এই টিকিট পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে টিকিট বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন। সেগুলো হচ্ছে- সুবর্ণ, তূর্ণা, গোধূলি, মেঘনা, মহানগর, সোনার বাংলা, পাহাড়ীকা, উদয়ন এবং বিজয়। এছাড়া এবার ঈদে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক জোড়া বিশেষ ট্রেন। ট্রেন দুটি চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চলাচল করবে। সবগুলো রুটে প্রতিদিন ১২ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথম দিনে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীরা সেহেরি খেয়েই লাইনে অবস্থান নেন। যদিও আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয় সকাল ৯টায়। আবার অনেকে সেহেরি পর্যন্ত অপেক্ষা না করে মধ্যরাত থেকেই চাটাই-মাদুর বিছিয়ে অপেক্ষা করেছেন টিকিটের জন্য। বিক্রি শুরুর আগ পর্যন্ত প্রতিটি কাউন্টারের সামনে শুয়ে-বসে সময় পার করেছেন টিকিট সংগ্রহকারীরা।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, আজ (২২ মে) দেয়া হবে ৩১ মে তারিখের টিকিট। এরপর ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ মে দেয়া হবে যথাক্রমে ১, ২, ৩ ও ৪ জুনের টিকিট।, একইভাবে আগামী ২৯ মে থেকে ঈদ পরবর্তী ফেরার টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ওই দিন দেয়া হবে ৭ জুনের টিকিট। এরপর ৩০ ও ৩১ এবং ১ ও ২ জুন দেয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এস এম মুরাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন মোট ১২ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। এরমধ্যে রেলওয়ের অ্যাপসে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার টিকিট এবং বাকি ৬ হাজার টিকিট রেল স্টেশন থেকে দেয়া হবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। এ জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। তবে একাধিক ট্রেনের ও ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির টিকিট কোনো ব্যক্তি একা সংগ্রহ করতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, এবার জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হওয়ায় কালোবাজারির সুযোগ নেই। এর পরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাউন্টারে রেলওয়ের নিজস্ব পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আবু আজাদ/এমএমজেড/জেআইএম