বছরের পর বছর রোগীদের সঙ্গে ২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতারণা
নিবন্ধন না নিয়ে রোগ নির্ণয় কার্যক্রম চালাচ্ছিল রাজশাহীর এইড প্লাস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড এজমা সেন্টার লিমিটেড ও সাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে এ দুই রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন ও নাজিয়া হোসেন এ অভিযান চালান। এ সময় জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আলম ইফতে খায়ের উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, প্রশিক্ষিত জনবল ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই চলছিল প্রতিষ্ঠান দুটি। অভিযানের সময় ফ্রিজে খাবারের সঙ্গে ওষুধ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব ওষুধের মোড়কে লেখা নেই মেয়াদ। অভিযানের সময় সেখানে পাওয়া যায়নি চিকিৎসক। ছিলেন না ম্যানেজারও।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে হাজির হন এইড প্লাসের ম্যানেজার সিরাজুর রহমান। এ অবস্থায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির লাইসেন্স না থাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন।
পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থিত সাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই। ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপযোগী পরিবেশও নেই।
এখানেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রমাণ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিশেষ করে গ্রামের সহজ-সরল রোগীদের সঙ্গে বছরের পর বছর প্রতারণা করে আসছিল এ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন বলেন, লাইসেন্স না নিয়ে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বেআইনি কাজ করায় তাদের জরিমানা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমএস