‘দিদি’ বলায় মাছের ঝুড়িতে এসিল্যান্ডের লাথি, মীমাংসায় এমপি
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পূর্ববাজারে ব্যবসায়ীর মাছের ঝুড়ি লাথি দিয়ে ড্রেনে ফেলে দেয়ার ঘটনায় ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ও উত্তেজনার আটদিনের মাথায় বিষয়টি মীমাংসা করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস।
সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মাছ ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেন এমপি কয়েস।
বৈঠকে এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, শিগগিরই মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। মাছ ব্যবসায়ীরা যেন সেখানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন এজন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে মাছ ব্যবসায়ী লায়েক আহমেদ বলেন, এমপি কয়েস সাহেবের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। আশা করছি আমরা মাছ ব্যবসায়ীরা এখন একটা সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা করার সুযোগ পাব।
মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্বের বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে জানিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, নিজ উদ্যোগে বৈঠক করে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন এমপি।
বৈঠকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুরাদ, ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, মাইজগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিতসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১২ মে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের পূর্ববাজার ডাকবাংলোর সামনে বসে মাছ বিক্রি করছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ী লায়েক আহমদ। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকার ব্যবসায়ীকে মাছের ঝুড়ি সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তখন মাছ ব্যবসায়ী লায়েক আহমদ কমিশনারকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন। এতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাছের ঝুড়ি লাথি দিয়ে ড্রেনে ফেলে দেন। এরপর মৎস্য ব্যবসায়ীরা এ ঘটনার প্রতিবাদের আন্দোলন শুরু করেন।
এ ঘটনার জন্য তারা সহকারী কমিশনারকে দুঃখ প্রকাশের জন্য আলটিমেটাম দেন। অন্যতায় ওই বাজারে মাছ বিক্রি বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে রাখেন ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস।
ছামির মাহমুদ/এএম/এমএস