পরকীয়া ফাঁস, আখক্ষেতে চাচি-ভাতিজার আত্মহত্যা
বগুড়ার শিবগঞ্জে পরকীয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে চাচি-ভাতিজা আত্মহত্যা করেছে। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশে আখক্ষেত থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার গাংনগর মাঝপাড়ার সুবন্ধু দাসের স্ত্রী চৈতী রানী দাস (২৭) ও অমল চন্দ্র দাসের ছেলে কনক চন্দ্র দাস (২০)।
স্থানীয়রা জানান, চৈতী রানী ও কনক দাসের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবৎ পরকীয়া চলে আসছিল। তারা সম্পর্কে চাচি এবং ভাতিজা হওয়ায় শুরুর দিকে তাদের মেলামেশা প্রতিবেশীরা কেউ সন্দেহের চোখে দেখেনি। কয়েকদিন আগে দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়। এনিয়ে উভয়ের পরিবার থেকে তাদের শাসনও করা হয়।
রোববার রাতে চৈতী রানী এবং কনক ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সোমবার সকাল থেকে বাড়িতে তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে কিছু দূরে আখক্ষেতে দুইজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, চৈতীর স্বামী অমল চন্দ্র হতদরিদ্র কৃষক। তাদের পরিবারে দুটি মেয়ে রয়েছে। অমলের আপন বড় ভাইয়ের ছেলে কনক। তারা পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করতো। চৈতী ও কনকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরিবার থেকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত না করায় ময়নাতদন্ত করতে মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে কি-না তা সিদ্ধান্ত হয়নি।
লিমন বাসার/আরএআর/এমএস