‘ডিম ভাঙার’ অভিযোগ তদন্তে ঘটনাস্থলে কমিটি, দায়ীদের ছাড় নয়
নাটোরের বড়াইগ্রামে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ৩৫ হাজার ডিম ভাঙার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কাজ চলিয়ে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি।
শুক্রবার সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য গ্রহণের পর বগুড়ায় ফিরে গেছেন এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি প্রধান বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শনিবার বগুড়া রিজিয়নে প্রত্যাহারকৃত ৬ জন পুলিশের কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ডিম মালিকের অভিযোগ, প্রাপ্ত তথ্য এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য গ্রহণ করার পর তিনি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। প্রয়োজনে তিনি আবারো ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং অতিরিক্ত কোনো প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষ্য দিতে চাইলে তা গ্রহণ করবেন।
ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে প্রকৃত ঘটনা যা পেয়েছি তাই রিপোর্ট করব।
তিনি বলেন, এটা পুলিশের ভাবমূর্তির ব্যাপার। সুতরাং দায়ীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে একটি পিকআপ (ঢাকা-মেট্রো নং ১৭-৩৭৮০) ৩৫ হাজার ১০০ ডিম নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে নাটোরে আসছিল। পথে আগ্রান সুতিরপাড়ে চাকা ফেটে গেলে পিকআপটি পাশের ফিডার রোডে নেমে যায়। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। তারা পিকআপটি উদ্ধারের জন্য রেকার ভাড়াসহ ২০ হাজার টাকা ঘুষ চায়। চালক এতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে পিকআপের ডিমের খাঁচি বাঁধার রশি চাকু দিয়ে কেটে দেয়।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলামকে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়।
অপরদিকে তদন্তের স্বার্থে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ৬ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলকে হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়ন সদরে প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই বিজয় কুমার সরকার, এটিএসআই আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল সোহেল রানা, শামিম রেজা, বুলবুল আহমেদ ও চালক ফারুক।
রেজাউল করিম রেজা/এফএ/জেআইএম