গোসাইরহাটে কৃষকের ধান কেটে দিল শিক্ষার্থীরা
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে দরিদ্র কৃষকদের পাকা ধান স্বেচ্ছায় কেটে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকে সারাদিন ধান কাটার অব্যাহত থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের ৫০ ছাত্র সারাদিন ধান কাটে।
গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের ধীপুর গ্রামের স্থানীয় কলেজ ছাত্র মো. আনিছুর রহমান লোটনের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বি খান, সাকিব, তারেক, নাজমুল, মাহাবুব, সুমন, নাদিম, ঈমন এ ধান কাটা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তারা স্থানীয় দরিদ্র কৃষক, যাদের ধান ইতোমধ্যে পেকে গেছে কিন্তু শ্রমিকের চড়া মজুরির কারণে ধান কাটতে পারছে না তাদের ধান কেটে দেন।
স্থানীয় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী মো. ছালাম সরদার ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, ধান কেটে দেয়ায় তারা খুব খুশি। এদিকে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার খবর পেয়ে ইদিলপুর স্কুলের শিক্ষক বেলায়েত হোসেনও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে কৃষকের ধান কেটে দিলেন শিক্ষার্থীরা
তিনি জানান, গোসাইরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা কর্মসূচি একটি দৃষ্টান্ত ও অনুকরণীয়।
স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার মূল উদ্যোক্তা সরকারি শামসুর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী মো. আনিছুর রহমান লোটন জানান, স্থানীয় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে নিয়ে এলাকার হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দেয়া হচ্ছে। প্রথম দিন দুই বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। যতদিন জমিতে পাকা ধান রয়েছে ততদিন পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সব কৃষকের ধান কেটে দেয়া হবে।
গোসাইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রম কার্যক্রমটি ইতিবাচক। ভবিষ্যতে আমরা তাদের কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত দিকগুলো শিখিয়ে দিলে আরও বেশি সমৃদ্ধশালী এবং কৃষিতে অবদান রাখতে পারবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হুসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রম দেশকে মানবিক বিবেচনায় এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
মো. ছগির হোসেন/এএইচ/এমএস