পুলিশকে ঘুষ না দেয়ায় ৩ লাখ টাকার ডিম নষ্ট : তদন্তে নেমেছে পুলিশ
ঘুষ না দেয়ায় পৌনে তিন লাখ টাকার ডিম রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দিয়েছিল বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ। এ ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে কমিটি। শুক্রবার সকালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপরই তদন্তে নামে কমিটি। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কমিটি।
বগুড়া হাইওয়ে রেঞ্জের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশকে ঘুষ না দেয়ায় রশি কেটে প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকার ডিম ভেঙে দেয়া হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে। বিষয়টির সত্যতা অনুসন্ধানের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরেই বগুড়া অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া থেকে নাটোরের বড়াইগ্রামের আগ্রান সুতিরপাড় গ্রামে আসেন তিনি। পরিদর্শনকালে তিনি ঘটনাস্থলে পরে থাকা কয়েক টুকরা কাটা রশিসহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেন। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় লোকজনসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সেখানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি সেখান থেকে বনপাড়া হাইওয়ে থানায় যান। সেখানে তিনি বিষয়টি নিয়ে থানার ওসি আলিম হোসেন শিকদারসহ রাতের পেট্রোল ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং নিজে সশরীরে এখানে এসেছি। আমি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। নিরপেক্ষ তদন্তে যারা দায়ী হবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে অপরাধী প্রমাণ হলে কেউ ছাড় পাবে না।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে একটি পিকআপে (ঢাকা মট্রা ন ১৭-৩৭৮০) পৌনে তিন লাখ টাকা মূল্যের ৩৫ হাজার ১০০ ডিম নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে নাটোরে আসছিল। পথে বড়াইগ্রামের আগ্রান সূতিরপাড় এলাকায় পিকআপটির চাকা পাংচার হয়ে গেলে সেটি পাশের ফিডার রোডে নেমে যায়। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা পিকআপ উদ্ধারের জন্য রেকার ভাড়াসহ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। চালক এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যরা পিকআপে ডিমের খাঁচি বাঁধার রশি চাকু দিয়ে কেটে দেন। এতে প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকার মূল্যের ডিম নষ্ট হয় বলে অভিযোগ ডিম ব্যবসায়ীর।
রেজাউল করিম রেজা/জেডএ/এমকেএইচ