কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানি, ৪ বখাটেকে বেঁধে নিয়ে গেল পুলিশ
মৌলভীবাজারে তিন কলেজছাত্রীর বাসায় ঢুকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চার বখাটেকে বেঁধে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ।
বুধবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের বেঁধে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তারা হলো- মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার বড়বাড়ি সোনাপুর এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে সাদনান রহমান নাভেদ (২১), একই এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে ফাহাদ আহমদ মুন্না (২৪), আফতাব উদ্দিনের ছেলে সায়েম আহমদ (২৩) ও রৌশন মিয়ার ছেলে লোকমান আহমদ (২৩)।
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, তিন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা হয়। সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তিন ছাত্রীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সোমবার (১৩ মে) রাতে শহরতলীর সোনাপুর এলাকার বাসায় ঢুকে তিন ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে নাভেদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় এক ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দুই ছাত্রী ও মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রী শহরতলীর সোনাপুরে নাভেদদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে প্রতিদিন নাভেদ ও তার সহযোগীরা তিন ছাত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়ে
নাভেদের অভিভাবকের কাছে অভিযোগ দিতে যান। ওই সময় নাভেদসহ অভিযুক্ত সায়েম, লোকমান ও
মুন্নাসহ আরও ২-৩ জন শারীরিকভাবে ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করে।
পরে তারা ঘটনাটি মুঠোফোনে এক ছাত্রীর ভাইকে জানালে তিনি কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বাড়ির মালিক ও নাভেদ আহমদের চাচা শফিকুর রহমানের কাছে বিচার চান। এ খবর শোনে নাভেদ আহমদসহ তার সহযোগীরা তিন ছাত্রীসহ উপস্থিত সবাইকে হেনস্তা করে এবং এ বিষয়ে মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে এ ঘটনায় আহত সবাইকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সুস্থ হওয়ার পর এক ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা করেন।
রিপন দে/এএম/এমকেএইচ