চিকিৎসার ব্যয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাতিজা ও ভাবিকে খুন
নাটোরের নলডাঙ্গায় মা ও সন্তান হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। হত্যার ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় নিহত শারমিনের দেবর মাহাবুল আলম মুক্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার মুক্তাকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিং করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, নলডাঙ্গায় মা ও শিশু ছেলেকে হত্যার পরই পুলিশ হত্যাকারীকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দেবর মাহাবুল আলম মুক্তা ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগমকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুল আলম মুক্তা পারিবারিক কলহ ও প্রতিবন্ধী ভাতিজার চিকিৎসার ব্যয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতসহ পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে নাটোরের নলডাঙ্গার বাশিলা উত্তরপাড়া গ্রাম থেকে মা শারমিন বেগম ও তার দুই বছরের সন্তান আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শারমিন বেগমের বাবা ওমর আলী বাদী হয়ে নিহতের দেবর মাহাবুল আলম মুক্তাকে আসামি করে নলডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহাবুল আলম মুক্তাকে গ্রেফতার করে।
রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এমকেএইচ