নড়াইলে রোহিঙ্গাকে পেয়ে গণধোলাই
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে নড়াইলে রোহিঙ্গারা শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা এলাকায় অপরিচিত লোক দেখলেই ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করছে।
তবে পুলিশ বলছে, ছেলেধরা নিছক গুজব। মানসিক প্রতিবন্ধী, অপরিচিত লোকজনকে এলাকায় এলোমেলো চলাফেরা করতে দেখলেই গণধোলাই দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নড়াইলে এক রোহিঙ্গা যুবককে গণধোলাই দেয়া হয়েছে, যা দুঃখজনক। যদি ছেলেধরা হয়েও থাকে, এভাবে মারপিট করা ঠিক না। তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হোক।
বুধবার দুপুরে নড়াইল সদর উপজেলার হিজলডাঙ্গা গ্রামে ওই রোহিঙ্গা যুবককে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয় পুলিশ। চিকিৎসা শেষে ওই রোহিঙ্গাকে নড়াইল সদর থানায় আটক রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোহিঙ্গা সন্দেহে একজনকে গণপিটুনি দিচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় মুলিয়া বাজার থেকে এক যুবককে উদ্ধার করা হয়। ওই রোহিঙ্গা যুবক নিজের নাম বলেছেন জসিম। তার বাবার নাম সাহেব। কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কাজের খোঁজে বের হয়েছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন জসিম।
এলাকাবাসী জানায়, যশোর-সাতক্ষীরা নড়াইলসহ বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গারা শিশু পাচার করছে এমন খবরে পুরো এলাকা আতঙ্কিত। এ অবস্থায় বুধবার সকালে হিজলডাঙ্গা গ্রামে অপরিচিত একজনকে ঘুরতে দেখে তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করা হয়। এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে না পারায় ওই রোহিঙ্গাকে পিটিয়েছে এলাকাবাসী।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের এসআই আমির বলেন, এলাকায় রোহিঙ্গা ছেলেধরা আতঙ্কের মধ্যে একজন রোহিঙ্গাকে পেয়ে কয়েক হাজার মানুষ হামলা চালায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। তাকে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হবে।
হাফিজুল নিলু/এএম/পিআর