অতিরিক্ত মূল্য রাখায় জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘেরাও
বরিশাল নগরীর বাংলাবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আদালত পরিচালনাকারী দল।
এ সময় ব্যবসায়ীরা হট্টগোল করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যসহ অন্যন্য সদস্যদের ঘেরাও করে রাখেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বাংলাবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। বেলা ১১টার দিকে আদালতের টিম সেখানে পৌঁছামাত্র বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মেসার্স দিপু স্টোর বন্ধ হওয়ার আগে আদালতের টিম সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকার বোর্ডে পণ্যের দাম অতিরিক্ত লিখে রাখার অভিযোগে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিষ্ঠানটির মালিক তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে ভিড় ঠেলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আদালতের সঙ্গে থাকা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আজমল ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দেন। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানান।
পরে তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সব সদস্যদের ঘিরে রেখে হট্টগোল শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. আজমল ব্যবসায়ীদের কাছে ভুল স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার বলেন, এক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়েছে।
বাংলাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সালাম মিয়া বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আজমল হোসেন খারাপ আচরণ করেছেন। এক ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দেন। তবে পরে ক্ষমা চাওয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।
সাইফ আমীন/এএম/পিআর