ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

প্রকাশিত: ০৭:০৮ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। শনিবার সকালে ধরলা নদীর পানি ফেরিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও  ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে, জেলার ৯টি উপজেলার ৬৩টি ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রামের সাড়ে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে আরো নতুন নতুন এলাকা। জেলার দুই শতাধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, যাত্রাপুর, পাঁচগাছি, বেরুবাড়ী, সাহেবের আলগা, নুনখাওয়া, রাজিবপুর, রৌমারী ও  চিলমারীসহ কয়েকটি এলাকায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকার বেশির ভাগ মানুষ উঁচু ভিটা, স্কুল, বাঁধে আশ্রয় নিলেও অনেকেই নিজের বাড়িতে মাচা করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করছেন।

তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় এদের অনেককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ত্রাণের অভাবে দুর্গত এলাকায় হাহাকার পড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাবে বন্যার্তদের অনেকের ভাগ্যে এখন পর্যন্ত সরকারের ত্রাণ পৌঁছেনি।  

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রে ৮ সেন্টিমিটার, দুধকুমোরে ৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। অবশ্য ধরলায় ৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। তবে এখনও বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শওকত আলী সরকার জাগো নিউজকে জানান, উপজেলার প্রায় ৫৮ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত গত ১৮দিন ধরে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। ফলে এ সকল ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জাগো নিউজকে জানান, কুড়িগ্রামের বড় বড় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য ২শ ৫৯ মেট্রিক টন চাল ও ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণের কাজ চলছে। নতুন করে ১০ লাখ টাকা ও ৫শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চেয়ে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে।

নাজমুল হোসেন/এসএস/পিআর