ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ২০টি ফেরি, ৩৩টি লঞ্চ

জেলা প্রতিনিধি | রাজবাড়ী | প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ১৪ মে ২০১৯

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ। এ রুটে ঈদের ৩/৪ দিন আগে থেকে ২০টি ফেরি ও ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। একই সঙ্গে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে ঈদের আগে ও পরে টানা ছয়দিন কাঁচামাল ও জরুরি পচনশীল পণ্য ব্যতীত সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারও বন্ধ থাকবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও দৌলতদিয়া ঘাট সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও যানজট নিরসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাফিক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ঘাট এলাকায় থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকার সড়কে ঈদের আগেই বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপন এবং লঞ্চ ও ফেরি ঘাটের রাস্তা সংস্কার করা হবে।

ঈদ উপলক্ষে প্রশাসন ও মালিক শ্রমিকের সভায় জানানো হয়েছে, ঈদের সময় সড়কে বাস ও থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য যান শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলাচল করা, যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা ও কাউন্টারে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেয়া, চলন্ত ফেরিতে জুয়ার আসর বন্ধ করা, ঘাট এলাকায় দালাল ও ছিনতাইকারী চক্রকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক সঙ্গে সড়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি না রাখতে চালক ও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

RAJBARI-ANAYETPURI-FARI

রাজবাড়ী জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ হাসান মৃধা জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও নিয়মের মাধ্যমে তারা যাত্রী পরিবহন করবেন। অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেয়‌া হবে না।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ঈদের আগে ও পড়ে ৬ দিন এ রুটে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে এবং যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে চলাচল করবে ২০টি ফেরি। ফেরিগুলো ঈদের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ শুরুর আগেই বহরে যুক্ত হবে। ঈদের আগে ও পরে এ ফেরিগুলো চলাচল করবে। দৌলতদিয়া প্রান্তের ৬টি ঘাটের সবগুলোই সচল রয়েছে।

রুবেল‌ুর রহমান/আরএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন