কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা গডফাদার নিহত
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীর ইয়াবা গডফাদার সৈয়দুল মোস্তফা ভুলু (৩৫) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ভুলু কক্সবাজার পৌরসভার পাহাড়তলির মাদক সম্রাট হাজী জহির আহাম্মদের ছেলে। ভুলুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টির অধিক মামলা রয়েছে। তার বাবা জহির আহাম্মদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দুই ডজনের মতো মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ভুলু কক্সবাজার শহরের মোস্ট ওয়ান্টেড ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টির অধিক মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন আইনের চোখকে ফাঁকি দিলেও সোমবার সন্ধ্যায় তাকে পাহাড়তলী এলাকা হতে আটক করেন এসআই আনসারুল হক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে রাতে তার এলাকায় যায় পুলিশ।
পাহাড়তলী এলাকায় তার আস্তানায় গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর তারা পিছু হটে। তখন ঘটনাস্থলে ভুলুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, দুটি তাজা ও ছয়টি খালি কার্তুজ এবং একটি এলজি উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, পাহাড়ঘেরা পাহাড়তলীর মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গত কয়েকদিন আগে ওই এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আজিমকে গ্রেফতার করা হয়। আর সোমবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে ভুলু। জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার সব কিছু স্বীকার করে ভুলু। তার সহযোগী ও সুবিধাভোগকারী এবং অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম, ঠিকানাসহ ব্যবসার পরিধি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে ভুলু। তাকে নিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে গেলে বন্দুকযুদ্ধে সে মারা যায়। এ ঘটনায় পৃথক মামলা হচ্ছে।
পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকী জামশেদ বলেন, পাহাড়তলীতে একটি বিশাল সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের চিরতরে উচ্ছেদ চায় এলাকাবাসী।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম