ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহ পৌর এলাকার মথুরাপুর গ্রামে আনোয়ার জাহিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বৈশাখী খাতুনকে (১৪) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৈশাখী খাতুন ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে। এ ঘটনায় তার বড় বোন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মোবাইল নম্বর নিয়ে বৈশাখী খাতুনের বাবা আব্দুস সামাদ ও তার চাচা আলমগীরের মধ্যে বিরোধ হয়। এরই জের ধরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে চাচা আলমগীর ও তার স্ত্রী নাসরিন, শ্যালক উজ্জল হোসেন ও শ্বাশুড়ি ছবিরন নেছা বৈশাখী খাতুনকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। এসময় আব্দুস সামাদ ও তার বড় মেয়ে ছাবিনা খাতুন ঠেকাতে গেলে তাদেরও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে বৈশাখী খাতুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। সেখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সে মারা যায়। শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে গ্রামে আনা হয়েছে।
এদিকে স্কুলছাত্রী বৈশাখী হত্যার পর চাচা আলমগীর হোসেন ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, স্কুলছাত্রীর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এমএএস/পিআর