জিপিএ-৫ পেয়ে দুশ্চিন্তায় মেধাবী ছাত্রী ফাহিমা
পটুয়াখালী সদর উপজেলার দড়িতালুক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ফাহিমা আক্তার। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া এই মেধাবী শিক্ষার্থী খালার বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে জিপিএ-৫ পেয়েও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তার।
ফাহিমা আক্তার বলেন, জন্মের পর থেকে কষ্ট করতে করতে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। আমার বাবা একজন নৈশ্যপ্রহরী। আমরা চার বোন এক ভাই। বাবা যা আয় করে তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। তাছাড়া মা অসুস্থ। তার চিকিৎসার ওষুধও কিনে দিতে পারে না বাবা।
তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণিতে বসেই পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে খালু (মৃত মাওলানা শাহ্জাহান আকন) আমাকে আবার বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেন। তার বাসায় থেকে আজ এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছি।
ফাহিমা বলেন, মা অসুস্থ থাকায় নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় একবার ঢাকায় পোশাক কারখানা চাকরি করি। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় আবারও একই কাজ করি।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। স্যাররা বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছেন। আজ লেখাপড়ার ব্যয় বহন করার মতো কেউ নেই। এ জন্য চিন্তায় আছি আমি লেখাপড়া করতে পারব কি না?
ফাহিমার খালাত ভাই মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ফাহিমার ছোটবেলা থেকেই ওর পরিবারের অস্বচ্ছলতা ছিল। আমাদের বাড়ি থেকে তার স্কুলজীবন শেষ হয়েছে। কলেজে ভর্তি হতে গেলে শহরে ভর্তি হতে হবে। সেখানে লেখাপড়া করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আসলে ওর মেধা আছে, কিন্তু টাকা নেই। সমাজের বিত্তবানরা ওর পাশে দাঁড়ালে সে লেখাপড়া ভালোভাবে করতে পারে।
দড়িতালুক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, আমার বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে ফাতিমার রোল ১ ছিল। আমাদের বিদ্যালয়ে এর আগে কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। ফাহিমা প্রথম জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে অনেক মেধাবী। সমাজের বিত্তবানরা ওর পাশে দাঁড়ালে সে খুব ভালো করবে।
মেধাবী শিক্ষার্থী ফাহিমাকে সহযোগিতা করতে পারেন আপনিও। যোগাযোগ: ফাহিমার খালাত ভাই মো. তরিকুল ইসলাম। মোবাইল ০১৭৬৩০৩৬৫৩৩।
মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/বিএ