ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফণীতে তলিয়ে গেছে ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ০৫ মে ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব আর টানা বৃষ্টিতে বাধ ভেঙে তলিয়ে গেছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম এলাকার কালাইতলা বিলের পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল।

এতে করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অক্ষত বাঁধের অংশটি রক্ষায় ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় লোকজন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম ও ডাসার থানা পুলিশের ওসি মো. গোলাম কিবরিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ইউএনও কৃষকদের সাহায্যের আশ্বাস দেন। ইতোমধ্যে কৃষকের শ্রমে ফলানো প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

Madaripur

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে গত দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও নদীর জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় বিলের ইরি ফসল। নদ-নদীর পানি দ্রত বাড়তে থাকায় বিলের পুরো বাঁধটি ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোনো সময় পুরো বাঁধটি ভেঙে সব ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে কৃষক সুজিত তালুকদার, পুলিন মল্লিক, সঞ্জয় বাড়ৈ ও রিনা মল্লিক বলেন, আমাদের শেষ সম্বল দিয়ে ধান লাগিয়েছি। তা এখন তলিয়ে গেছে। এখন কীভাবে আমরা সংসার চালাব জানি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সম্পূর্ণ বাঁধটি নির্মাণের দাবি জানাই আমরা।

নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিভূতী ভূষন বাড়ৈ বলেন, আমি আমার ইউপি সদস্যদেরকে নিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রতি বছর এভাবে বাঁধরক্ষা করা সম্ভব নয়। এটির স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। বাঁধকে পাকা রাস্তায় রূপান্তর করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Madaripur

ডাসার থানা পুলিশের ওসি মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। আমরাও তাদের সঙ্গে মিলেমিশে সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রস্তুত আছি।

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে সরেজমিনে গিয়ে বাঁধরক্ষার জন্য অনুদান দিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাঁধরক্ষার কাজে নিয়োজিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা সার্বক্ষণিক বিষয়টি দেখছেন। বাঁধ রক্ষার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষকদের ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করা হবে।

এ কে এম নাসিরুল হক/এএম/জেআইএম

আরও পড়ুন