আইনজীবী-পুলিশের গোপন কথা শুনে মার খেলেন সাংবাদিক
সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাদক মামলার সাক্ষ্য দিতে আসা দুই পুলিশ কনস্টেবলের কাছে ঘুষ দাবি করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. উকালত হোসেন। আর তাদের দেনদরবার শুনে ফেলায় এক সাংবাদিকে মারপিট করেছেন কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম।
রোববার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল আদালতের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম ও সাজেদুল ইসলাম কলারোয়া থানার সরসকাটি পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত।
কলারোয়া থানার সরসকাটি পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, কলারোয়া থানার মামলা নং ১৬, তারিখ : ১৮.০৭.১৮ মামলার সাক্ষ্য দিতে আদালতে এসে হাজিরা দেয়ার পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটির (পিপি) অ্যাড. উকালত হোসেন আমার ও সাজেদুল ইসলামের কাছে ছয়শ টাকা দাবি করেন। আমার কাছে টাকা নেই জানালে তিনি বলেন, টাকা দিতে না পারলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকেন। এখন দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
এদিকে সংবাদকর্মী ফিরোজ হোসেন বলেন, দুই পুলিশ সদস্য ও অতিরিক্ত পিপির এ দেনদরবারের সময় আমি ঘটনার ছবি নেয়ার চেষ্টা করি। এ সময় পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলে পড়ে।
তবে পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি।
ঘটনার সময় উপস্থিত অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মিজানুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. উকালত হোসেন দুই কনস্টেবলের কাছে টাকা দাবি করেন। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছে।
তবে অ্যাড. উকালত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, আদালত চলাকালীন পিপি, অতিরিক্ত পিপিদের সরকার একটা সম্মানী দেয়। আদালতে আগত কোনো সাক্ষীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করার কোনো বৈধতা তাদের নেই। এ পদে থেকে কেউ যদি টাকা দাবি করে তাহলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/পিআর