ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘ফণী’ মোকাবিলায় বরিশালে ২৩২ আশ্রয়কেন্দ্র, ১০ নিয়ন্ত্রণকক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ১২:০৬ এএম, ০২ মে ২০১৯

 

ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় বরিশাল জেলায় ২৩২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি বার্তা প্রদানের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোলা হয়েছে ১০টি নিয়ন্ত্রণকক্ষ। এছাড়া দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তৈরি করা হচ্ছে দেড় শতাধিক মেডিকেল টিম।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী আগামী শনিবার সকালে দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে জেলার ২৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দেড় শতাধিক মেডিকেল টিম এবং দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের ফণী আসার বার্তা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক সাহায্যের জন্য ৪০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ সাত লাখ টাকা এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার তৈরি করা রয়েছে। ‘ফণী’ আঘাত হানলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এরই মধ্যে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে। দেড় শতাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসাসরঞ্জামও প্রস্তত রাখতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় জরুরি বার্তা আদান-প্রদানের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ০১৭৪১১৯৬৯৩৯, পিআইও, আগৈলঝাড়া- ০১৯১৫৮৪৪৮০৭, পিআইও, বাবুগঞ্জ- ০১৭১৭৪৪৪৪৫৪, পিআইও, বাকেরগঞ্জ- ০১৭৩২৫০৯২৬৯, পিআইও, গৌরনদী -০১৯১৫৮৪৪৮০৭, পিআইও, মুলাদি- ০১৭১৬১৪৩১৪১, পিআইও, হিজলা-০১৭১৭৬৫৫৩৪২, পিআইও, বরিশাল সদর- ০১৭১৮০২৩১৩৯, পিআইও, উজিরপুর- ০১৭১৯০৫৬০৮৪, পিআইও, বানারীপাড়া- ০১৯১৬৯৯৪৭৭১, পিআইও, মেহেন্দিগঞ্জ- ০১৭১১৯৪৭৪৬০ এই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার সকালে দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ফণীর এখনকার গতিবেগ এবং পথ যদি ঠিক থাকে তবে ভারতের ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও মোংলায় আঘাত করবে শনিবার সকালে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সাইফ আমীন/বিএ

আরও পড়ুন