শালিস না মানায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিলেন আ.লীগ নেতা
নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দমাদপুর গ্রামে পারিবারিক জায়গা-জমির বিরোধের পক্ষপাতমূলক শালিস না মানায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বিরুদ্ধে একপক্ষের বাড়ির চলাচলের পথে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় বাট বাড়ির ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সুধারাম থানায় দাদপুর ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মমিন উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ আলম, ছিদ্দিক উল্যাহ ও আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার চাচার সঙ্গে তাদের পারিবারিক কিছু জায়গা-জমির বণ্টন নিয়ে সমস্যা ছিল। বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে মীমাংসার জন্য তারা রাজি হন। কিন্তু তাদের পাশের বাড়ির বাসিন্দা ও সালিশদার স্থানীয় ইউপি সদস্য মমিন উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ আলমসহ কয়েকজন সালিশে পক্ষপাতমূলক কথা বলায় তারা আপত্তি জানান। এতে উত্তেজিত হয়ে ইউপি সদস্য মমিন সাইফুলদের গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে সালিশের বিষয়কে কেন্দ্র করে সাইফুলদের বাড়ির চলাচলের পথে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। এতে ওই বাড়ির প্রায় ১৫ পরিবারের শতাধিক লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। চলাচলের পথে ব্যারিকেড দেয়ার পরও ইউপি সদস্য ও তার লোকজন তাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। থানা পুলিশকে জানালে তাদেরকে ইয়াবার মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে বলেও হুমকি দিচ্ছে বলে জানান সাইফুল ইসলাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মমিন উদ্দিন বলেন, তারা সমাজ মানে না। সালিশদার মুরুব্বিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। তাই তাদের শিক্ষা দেয়ার জন্য সালিশদারদের সিদ্ধান্তে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। তারা যদি অশোভন আচরণের জন্য সালিশদারদের কাছে ক্ষমা চায়, তবে তাদের পথ খুলে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে সুধারাম থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমান বলেন, বাড়ির চলাচলের পথে ব্যারিকেড দেয়ার একটি অভিযোগ পাওয়ার পরপরই স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ফোনে ব্যারিকেড তুলে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিরোধের বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এরপর থেকে ইউপি সদস্য ফোন রিসিভ করছেন না। বুধবার সকালে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যারিকেড তুলে দিয়ে আসব।
এএম/এমএস