এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার রাস্তা
প্রায় ১৪.০৮ বর্গ কি.মি. আয়তন নিয়ে গঠিত সাভার পৌরসভা। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভাটি রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছের পৌরসভা হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু এ পৌরসভার মানুষকে প্রতিনিয়তই সড়ক নিয়ে নানা রকম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাভার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। অথচ সংস্কারের জন্য ১৫ বছরেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এ কারণে সড়কের অধিকাংশ জায়গা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে থাকে। বৃষ্টি এবং ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তার অধিকাংশ স্থানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। রাস্তার সংস্কার না হওয়া, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ফেলা ময়লা-আবর্জনায় রাস্তার অবস্থা প্রতিনিয়তই আরও খারাপ হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হলেই রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয় জনগণ পৌরসভায় বার বার জানালেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যদিও উনারা মাঝে মাঝে ভাঙা ইট দিয়ে রাস্তার গর্তগুলো পূরণ করে বলে যান অতি দ্রুত রাস্তা মেরামতের কাজ ধরা হবে।
এ প্রসঙ্গে সাভার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আয়নাল হক জাগো নিউজ বলেন, এ রাস্তাটির টেন্ডার না হওয়ায় সংস্কারের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অতি দ্রুতই পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দিয়ে প্রতিনিয়ত বনগাঁও ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু রাস্তাটি ভাঙাচোরা হওয়ায় চলতে নারাজ স্বাভাবিক যানবাহন। যার ফলে এ সড়কে ব্যাটারি চালিত অটো, অটোরিকশা চলাচল করে থাকে।
বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মিলন হোসেন বলেন, রাস্তাটি অনেক বছর যাবৎ সংস্কার করা হবে হবে বলেও যথাযথ কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। মাত্র ৭ কি.মি. রাস্তা চলাচলের জন্য আমাদেরকে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো মাঝে মাঝে যাত্রী কম থাকার বাহানায় এ ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকাও নিয়ে থাকেন।
বনগাঁও এলাকায় বেশির ভাগ মানুষের পেশা কৃষিভিত্তিক পণ্য দ্রব্য। উৎপাদিত কাঁচামাল গেন্ডা কিংবা সাভার বাজারে নিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান অনেক ভুক্তভোগী কৃষক।
এমএএস/এমএস