কনস্টেবল স্বামীর অপেক্ষায় পুলিশ সদস্য শামীমা
ছয় বছর আগে পুলিশ কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন তার সহকর্মী শামীমা আক্তারকে বিয়ে করেন। সুখে-শান্তিতেই চলছিল তাদের সংসার। বিয়ের চার বছর পর শামীমার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে ছেলেসন্তান। তাকে ঘিরেই দুই বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী চাঁদপুরের হাইমচর থানায় কমর্রত ছিলেন। কিন্তু এখন সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেল শামীমার।
শুক্রবার রাত ১টার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে পুলিশের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের সময় কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন নিখোঁজ হন। শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মোশাররফ-শামীমার চার বছরের ছেলে মাহির মোশাররফ জানে না তার বাবা আর ফিরবে কি-না? স্বামীর নিখোঁজের খবরে কনস্টেবল শামীমা আহাজারি আর বিলাপ করছেন। স্বামীর মরদেহ একবার দেখার সুযোগ পাবেন কি-না তা নিয়েও তিনি সংশয়ে রয়েছেন।
নিখোঁজ মোশাররফের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বারবকুন্ড এলাকার মিজিপাড়ায়।
মোশাররফের স্ত্রী পুলিশ কনস্টেবল শামীমা আক্তার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযানে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হন মোশাররফ। তারপর রাত ২টার দিকে বাসায় খবর দেয়া হয় তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন শুধু মোশাররফের জন্য অপেক্ষা।
হাইমচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহসিন আলম জানান, রাতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও কনস্টেবল মোশাররফ নিখোঁজ হন। তারপর ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড নদীতে উদ্ধার অভিযান চালালেও মোশারফকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ইকরাম চৌধুরী/আরএআর/এমএস