এবার শ্রীমঙ্গলে ময়লার ভাগাড়ে ব্যারিস্টার সুমন
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্তূপটির আশপাশে রয়েছে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর সেই ময়লার দুর্গন্ধে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানাবিধ সমস্যায় আছে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ স্থানীয়রা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে থেকে ভাগাড় অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন হলেও কোনো লাভ হয়নি।
এবার সেই ময়লার ভাগাড়ে নামলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। শনিবার সকালে এলাকাবাসী এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তিনি ফেসবুক লাইভে এর প্রতিবাদ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় তিনি এমপি বা মেয়রের ছেলে-মেয়েরা ঢাকা বা বিদেশে পড়ে, তাই তাদের এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে দরদ নেই বলেও মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত কলেজ রোড এলাকায় পৌরসভার প্রায় এক একর পতিত জমি রয়েছে। শহরের সব ময়লা-আবর্জনা পৌরসভার পরিছন্ন কর্মীরা প্রতিদিনই এখানে ফেলছে। প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে এই জায়গায় গড়ে উঠেছে বিশাল আবর্জনার স্তূপ। সেই স্তূপ থেকে আসা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দা, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ ও দি বার্ডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদরাসাসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের ছাত্র মান আহমেদ জানান, ময়লার প্রচণ্ড দুর্গন্ধে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করা কষ্টকর। ময়লার গন্ধে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় ক্লাসে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ভাগাড়ের আশপাশের বাসিন্দারা বলেন, ‘জোরে বাতাস হলে ঘরের ভেতর পর্যন্ত গন্ধ ঢুকে যায়। তখন দম নেয়া যায় না। কিন্তু কিছু করার নাই। ঘরবাড়ি ছেড়ে তো যাওয়া যায় না, তাই থাকি।’
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল মালেক বলেন, ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধের জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অসুবিধা হচ্ছে। গন্ধের কারণে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের জটিলতা সৃষ্টি হয়। অনেকে ক্লাসে আসা কমিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসীন মিয়া মধু বলেন, ময়লা ফেলার স্থানটি সরিয়ে নেয়ার জন্য নতুন জায়গা ঠিক করা হয়েছে। ২০১২ সালে হাওরে নতুন আরেকটি জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। বর্তমানে জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আইনি জটিলতা কেটে গেলে দ্রুত এই ভাগাড় সরিয়ে নেয়া হবে।
রিপন দে/এফএ/জেআইএম