চাকরি ফিরে পেলেন জাহালম
বিনা দোষে তিন বছর কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন পাটকল শ্রমিক জাহালম। একই সঙ্গে ফিরে পেয়েছেন চাকরিটিও। গত ১৬ এপ্রিল থেকে তিনি কর্মস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুটমিলে তাঁতী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
সোনালী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারিতে দুদকের দায়ের করা ৩৩টি মামলায় ছালেকের পরিবর্তে ২০১৬ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি জাহালমকে আটক করা হয়। দীর্ঘ তিনবছর ভুল আসামি হিসেবে জেলে থাকার পর এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান তিনি।
মুক্তির পর তার চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় সকল প্রকার কাগজপত্র নিয়ে বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজেএমসি চেয়ারম্যান জাহালমের সকল প্রকার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাকে স্বপদে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশনা মোতাবেক এ মাসের ১৬ তারিখ তিনি পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে অবস্থিত বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ জুট মিল কর্তৃপক্ষের কাছে তার কাগজপত্র পেশ করেন। কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা মোতাবেক তার স্বপদে যোগদান গ্রহণ করে।
দীর্ঘ তিনবছর পর চাকরি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জাহালম জানান, এই তিনটি বছর বিনাদোষে কারাবরণ করে শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে। মানসিক অবস্থাও আগের মতো নেই। ফলে আগের মতো এখন আর কাজে মন বসে না। কেমন যেন একটা ঘোর দেখতে পাই। তাই জীবন থেকে চলে যাওয়া তিনটি বছরের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
জাহালমের চাকরি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ জুট মিলের মহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম রব্বানী জানান, জাহালম এই মিলেরই একজন স্থায়ী তাঁতী ছিলেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে নিয়মানুযায়ী চাকরি চলে যায়। দীর্ঘ তিনবছর অনুপস্থিতির পর অবশেষে জাহালমের যোগদানের বিষয়ে বিজেএমসি একটি নির্দেশনা জারি করে। এই নির্দেশনায় আমরা জাহালমের স্বপদে যোগদান গ্রহণ করি। জাহালম এ মাসের ১৬ তারিখে মিলের কার্যালয়ে এসে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি মিলে কর্মরত রয়েছেন।
এফএ/এমএস