নুসরাত হত্যা : এবার শাকিল গ্রেফতার
ফেনীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুন পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মহিউদ্দিন শাকিল (১৯) নামে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের উকিলপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, নুসরাত হত্যা মামলায় গ্রেফতারদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহিউদ্দিন শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের প্রবাসী রুহুল আমিনের ছেলে।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, ইফতেখার হোসেন রানা, এমরান হোসেন মামুন, হাফেজ আবদুল কাদের ও মহিউদ্দিন শাকিল।
এদের মধ্যে আটজন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন- নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে গেলে তার গায়ে আগুন দেয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় ওইদিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।
এর আগে ২৭ মার্চ ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য নুসরাত ও তার পরিবারের ওপর চাপ দিচ্ছিল অধ্যক্ষের লোকজন। এরপর ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
রাশেদুল হাসান/আরএআর/পিআর